যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের মধ্যে এ উদ্বেগ অনেকটা বেশি, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক পরিচিতি বেইজিংয়ের কঠোর সমালোচক হিসেবে।
হোয়াইট হাউজে ঢুকতে পারলেই চীনা পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথে ট্যারিফের দেয়াল তোলার আগাম ঘোষণা এরই মধ্যে দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের পরবর্তী প্রশাসনের অধীনে চীনা পণ্যের ওপর থাকা বর্তমান ট্যারিফ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভিয়েতনামে কর্মরত বিজনেস কনসালটেন্ট কাইল ফ্রিম্যান এমনটাই মনে করছেন। তিনি সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, ‘এটা না হলে, তা হবে ব্যতিক্রম।’
মূলত চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কাই এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সব ডিম এক ঝুড়িতে না রেখে যেসব পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান চীনে ব্যবসা করতেন, তারা এখন তাদের সাপ্লাই চেন অটুট রাখতে চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করছে।
আর তাদের এ পদক্ষেপ অমূলক কিংবা অযৌক্তিক নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে, সম্ভাব্য এ ট্যারিফযুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন সরকারও। যদিও তারা বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন প্রতিক্রিয়া এখনও দেখায়নি। তবে ভেতরে ভেতরে এ ধরনের পরিস্থিতি সামলানোর উপায় নিয়ে কাজ করছে দেশটি।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন নির্বাচনে চীনের বিরুদ্ধে ট্যারিফ ইস্যুটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র তখন বলেন, ‘মার্কিন নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই। তবে আমরা এ নির্বাচনে চীনকে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে।’