গত ৭ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
আবার গত ১৮ সেপ্টেম্বর হিন্দুস্তান টাইমস আবার আরেক প্রতিবেদনে জানায়, নিউইয়র্কে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে কোনো বৈঠক হবে না। এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে মোদির তিন দিনের ব্যস্ত সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের এজেন্ডা রাখা হয়নি।
নিউইয়র্কে মোদির সফর যথেষ্ট ব্যাস্ত সূচি হতে যাচ্ছে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এটি মোদির প্রথম মার্কিন সফর।
গত দুই মাসে রাশিয়া এবং ইউক্রেন সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় ভারত কূটনৈতিকভাবে দূতিয়ালি করছে। রাশিয়ায় সম্প্রতি ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সফর তারই অংশ। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভারতের সংশ্লিষ্টতা এবং অংশগ্রহণ যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি এখন।
কিন্তু প্রতিবেশি বাংলাদেশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার যে বয়ান দিল্লি প্রচার করে আসছে, তা কেনো নিউইয়র্কে মোদির সফরে গুরুত্ব পাচ্ছে না? ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি বলেছিলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে প্রতিবেশি ভারতের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এখন ঢাকার। কারণ শেখ হাসিনার পতনের পর, দুদেশের সম্পর্কে অবনতিতে প্রভাব পড়েছে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে তা দূর করতে ইউনূস-মোদির বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল ঢাকা। কিন্তু এটা স্পর্শ করেনি দিল্লিকে।
অনেকে জায়গায় বলা হচ্ছে, ইউনূসের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের (পিটিআই) কারণে দিল্লির অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ভারতে হাসিনাকে চুপ থাকতে বলাসহ ইউনূসের বিভিন্ন মন্তব্যে ভালাভাবে নেয়নি তারা। শুধু হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুই কি ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিল? কারণ কী এই একটায়?
পিটিআইয়ের সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) চেতনার পুনরুজ্জীবন হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছিলেন ড. ইউনূস। ইউনূস বলেছেন, দীর্ঘদিন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হয়নি। আমরা যদি একত্র হতে পারি, তবে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশগুলো অনেক কিছু অর্জন করেছে। সার্কের কাজ করার বিষয়টি আমাদেরও নিশ্চিত করতে হবে।