অবশেষে ১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে পাঞ্জাবের দলটি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাঞ্জাব কিংস। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বিশাল পুঁজি পায় মুম্বাই। লক্ষ্য তাড়ায় শ্রেয়াস আইয়ারের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভর করে ৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব।
টস জিতে প্রথমে মুম্বাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাঞ্জাব। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। দলীয় ১৯ রানে রোহিত শর্মাকে হারায় মুম্বাই। তবে এরপর দলের হাল ধরেন জনি বেয়ারস্টো এবং তিলক ভার্মা। দুইজনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে মুম্বাই।
সূর্যকুমারকে নিয়ে ৭২ রানে জুটি গড়েন ভার্মা। শেষ দিকে নামান ধীরের ১৮ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বিশাল পুঁজি পায় মুম্বাই। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ।
২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রভসিমরন সিংকে হারায় পাঞ্জাব। এরপর বড় জুটি গড়ার দিকেই এগোচ্ছিলেন জস ইংলিশ ও আরিয়া। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি অশ্বনী কুমার। আরিয়ার উইকেট তুলে নেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন অজি ব্যাটসম্যান ইংলিশও। তখন পাঞ্জাবের স্কোর ৭.৫ ওভারে ৭২ রানে ৩ উইকেট।
নেহাল ওয়াধেরাকে নিয়ে এগোতে থাকেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। দুইজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যটা সহজ হয়ে যায় পাঞ্জাবের জন্য। ওয়াধেরা ২৯ বলে ৪৮ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং চালিয়ে যান আইয়ার। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত এক ওভার ও ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। আইয়ার ৪১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। মুম্বাইয়ের হয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন অশ্বনী কুমার।
মঙ্গলবারের একই ভেন্যুতে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুই দলই এখন পর্যন্ত আইপিএলের শিরোপা জেতেনি। ফলে এবারের ফাইনালে যে দলই জিতবে তারাই হলে আইপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন। এবারের আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুই দলের মুখোমুখি দেখায় জয় পেয়েছিল বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু।