দীর্ঘ ১০ মাস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশফিকুর রহিম। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি। এদিকে ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। এটি তার ৬ষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরির। এই সেঞ্চুরির জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১৮ মাস।
গল টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন করে বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের আরেকটি স্মরণীয় সেঞ্চুরি। তার এ ইনিংসটি এলো নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির পরপরই, যা বাংলাদেশ দলের ইনিংসকে করেছে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানো।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের প্রথম দিনটা একেবারে নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দারুণ সেঞ্চুরিতে দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা কিছুটা সাবধানী ছিল বাংলাদেশ দলের। ওপেনারদের মধ্যে একটি প্রাথমিক বিপর্যয় দেখা দিলেও, এরপরই দৃঢ়তা দেখান নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শুরু থেকেই ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। ধৈর্য ও টেম্পারামেন্টের দারুণ সমন্বয়ে ক্যারিয়ারের আরেকটি টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। শান্তর সেঞ্চুরির পর তিনিও দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে খেলেন মনোযোগী ইনিংস। অভিজ্ঞতার ছাপ রেখে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তিন অঙ্কের ঘরের দিকে এবং শেষ পর্যন্ত সেই কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকও স্পর্শ করেন। এ সময়টায় দু’জনের মধ্যকার জুটি হয়ে ওঠে ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
প্রথম দিন শেষে শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
প্রথম দিনের পারফরম্যান্সে স্পষ্ট, ব্যাট হাতে নিয়েই বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে মাঠে নেমেছে। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে শান্ত ও মুশফিক যেন ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন ক্রিকেটবিশ্বকে।
দ্বিতীয় দিনে এই ইনিংস আরও বড় করতে পারলে বাংলাদেশ পেতে পারে এক সুনিশ্চিত প্রথম ইনিংস লিডের সুযোগ। এখন দেখার বিষয়, শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে কতটা বড় সংগ্রহ পায় টাইগাররা।