১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য

Date: 2025-02-25
news-banner
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ছাড়িয়ে গেছে ১০০ কোটি ডলার। দ্য নিউজকে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন খান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানি বহু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের বিরাট বাজার আছে পাকিস্তানে। তা থেকে পাকিস্তান সুবিধা পেতে পারে। ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। হাইকমিশনার ইকবাল রোববার সন্ধ্যায় কাসুর এবং ফয়সালাবাদ সফর করেন। সেখানে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সাথে সাক্ষাত করেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্যের গতি বৃদ্ধি করা নিয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন। ওই সফরকে তিনি ফলপ্রসূ ও সুবিধাজনক বলে মন্তব্য করেন। 

কমপক্ষে ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশে ব্যাপক চাহিদা আছে পাকিস্তানি সুতা, চিনি, চাল, তৈরি পোশাক, বিশেষ করে নারীদের পোশাক, ফল- বিশেষ করে আমের। অন্যদিকে পাকিস্তানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে আনারস, পাট, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, গার্মেন্টস।
ইতিমধ্যে প্রায় দুই দশকের মধ্যে জাতীয় ক্যারিয়ারের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রথম চালানে ২৬ হাজার টন চাল রপ্তানি করেছে বাংলাদেশে। ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের (টিসিপি) মাধ্যমে তারা মোট ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি করবে। এর মধ্যে বাকি ২৪ হাজার টন পাঠানোর কথা আগামী মাসে। সরকার-টু-সরকার ভিত্তিতে চাহিদা মেটাতে পাকিস্তানের চাল ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন । এরপর ডিসেম্বরে একটি টেন্ডার দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টন সাদা চাল (ইরি-৬) এবং ২৪ হাজার টন বাসমতি নয় এমন হাফ-বয়েল চাল দেয়ার পরিপত্র দেয় টিসিপি। ৬ই জানুয়ারি টেন্ডার খোলা হয়। তাতে সাদা চালের জন্য মোট ১১টি দরপত্র পাওয়া যায়। এর মূল্য টনপ্রতি ৪৯৮.৪০ ডলার থেকে ৫২৩.৫০ ডলার প্রস্তাব করা হয়।  তবে বাসমতি নয় এমন হাফবয়েল চালের জন্য কোনো দরপত্র পাওয়া যায়নি। এই চাল বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। 
সূত্র: মানবজমিন 
image

Leave Your Comments